সৌদি রিয়াল ও ডলার প্রতারণা চক্রের মূল হোতা কুকুয়া ইউপি সদস্য জালাল হাওলাদারকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব ও গোয়েন্দা পুলিশ। গত শুক্রবার রাতে বরিশাল মহানগরের একটি সড়ক থেকে র্যাব ও গোয়েন্দা পুলিশর যৌগ টিম তাকে গ্রেপ্তার করে।
শনিবার (১১ মে) পুলিশ তাকে আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়েছে। আদালতের বিচারক মো. আরিফুর রহমান তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
জানাগেছে, বরগুনার আমতলী উপজেলার কুকুয়া ইউনিয়নের হরিমৃত্যুঞ্জয় গ্রামের আজাহার হাওলাদারের ছেলে জালাল হাওলাদার, তার দুই ভাই দুলাল হাওলাদার ও চুন্নু হাওলাদার গত ৪০ বছর ধরে ডলার ও সৌদি রিয়াল বিক্রির নামে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছে। ওই এলাকায় এ চক্রের ৪৫-৫০ জন সদস্য রয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা।
তারা দেশের বিভিন্ন এলাকায় ডলার ও সৌদি রিয়াল বিক্রির নামে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। গত রোববার রাতে ওই চক্রের হোতা ইউপি সদস্য জালাল হাওলাদারসহ ৬/৭ সদস্য উপজেলার গাজীপুর গ্রামের তৌকির খানের কাছে ৩ লাখ টাকার সৌদি রিয়াল বিক্রির নামে দেন দরবার করছিল।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বরগুনা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি বশিরুল আলমের নেতৃত্বে ওই গ্রামে অভিযান চালায়। পরে ওই চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। কিন্তু মূল হোতা জালাল হাওলাদার পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় গত সোমবার আমতলী থানায় প্রতারণা অভিযোগে জালালসহ তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়।
এ মামলায় এ চক্রের পাঁচ সদস্য জেল হাজতে রয়েছে। গত শুক্রবার রাতে বরগুনা গোয়েন্দা পুলিশ ও র্যাবের একটি যৌথ টিম বরিশাল মহানগরের একটি সড়ক অভিযান চালায়। ওই সড়ক থেকে তারা প্রতারক ডলার জালাল হাওলাদারকে গ্রেপ্তার করে। শনিবার (১১ মে) ডিবি পুলিশ তাকে আমতলী থানার সোপর্দ করে।
বরগুনা জেলা গোয়েন্দা শাখার ওসি বশিরুল আলম বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে তিনি তার সকল অপকর্মের কথা স্বীকার করেছে। এ চক্রের আরো বেশ কয়েকজন সদস্য রয়েছে তাদের গ্রেপ্তার চেষ্টা অব্যাহত আছে।
টিএইচ
